top of page
Search

এই বি এন পি কোন বি এন পি?

বি এন পি কি আসলে জানেন তাঁরা কি করিতেছেন? কথাগুলো বলার আগে কথাটা স্পষ্ট করে নেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমার প্রিয় নেতাদের একজন। শুধু তাই নয়, আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট জিয়ার খালা কাটা কর্মসূচী যদি বাস্তবায়ন করা যেত তাহলে বাংলাদেশ ফলে ফুলে সুশোভিত হত। তেমনিভাবে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিও আমার সম্মান এবং শ্রদ্ধা বিশেষভাবে আপোষহীনতার কারণে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমান বি এন পি কি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে? অবশ্যই না। সামান্য কিছু নেতা কর্মী এখানে সেখানে থাকতে পারে কিন্তু মোটা দাগে এই বি এন পি জিয়ার বি এন পি নয়।

কেন? প্রথম কথা হলো যদি সংবিধান বা আইনের প্রশ্ন তোলা হয় তাহলে জিয়া হলেন ৫ম সংশোধনীর প্রডাক্ট। বি এন পি যদি প্রেসিডেন্ট জিয়ার আদর্শ চায় তাহলে তো প্রথমতই ৫ম সংশোধনী চাওয়া উচিত। জিয়া এসেছিলেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ক’জন বি এন পি নেতা এখন বিসমিল্লাহ বলে বক্তৃতা শুরু করেন?

বি এন পির নেতারা বলুক প্রেসিডেন্ট জিয়ার কোন আদর্শটা কোন কাজটা তাঁরা ধারণ করেন? কাউয়া কাদের নামে পরিচিত ওবায়দুল কাদের যখন বলেন ” পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো”। কাদেরের এই উক্তি কিসের ইঙিত বহন করে। কাদের সাহেবের সাথে যে ফখরুল সাহেবের একটা বোঝাপড়া চলছিল তা নয় কি? যদি বলি গত ১৫ বছরের কোন আন্দোলন সফল হয়নি ফখরুল সাহেবদের এ ধরনের বোঝাপড়ার কারণেই। শুধু কি তাই কাদের সাহেব (সরি কাউয়া কাদের বললেই সম্ভবত মানুষ বেশী চেনে) আরো বলতেন তলে তলে সমঝোতা হয়ে গেছে সেটা কিসের ইঙিত?

হ্যাঁ, আমি জানি ফখরুল সাহেব বলবেন কাদের সাহেবের এসব কথার কথা। কিন্তু আমরা যদি ডট মিলাই। অর্থাৎ কাদের সাহেবের কথা এবং ফখরুল সাহেবের তখনকার এবং এখনকার কথা তাহলে সমীকরণ কি দাঁড়ায়। শুধু ফখরুল সাহেব কেন, শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যে ভারত বন্দনা সেটা কিসের ইঙিত? বি এন পি নেতাদের অনেক বক্তব্য, কার্যক্রম ভারত প্রীতি ইংগিতকে আরো প্রমানিত করে।

 শুধু কি তাই, যে কথাগুলো সবাই জানে এই সরকারের সকল প্রধান কাজে বি এন পি কেন বাধা দিচ্ছে? হ্যাঁ, বি এন পি এ সরকারের প্রধান কাজেই বাধা দিচ্ছে। কিভাবে প্রথম আসুন চুপ্পুকে সরানোর বিষয়ে। একজন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রের মতই প্রশ্ন করি, কে এই চুপ্পু? বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট! চুপ্পুকে কে বসিয়েছিল, হাসিনাই তো নাকি? আর সে প্রেসিডেন্টকে সরানোর ব্যাপারে কে বাধা দিয়েছে এই সেই কাউয়া কাদেরের ফখরুল সাহেবই তো! সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারেও একই কথা। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার তোষামোদী দুবৃত্তদেরকে দিয়ে এই সংবিধানকে তো একটা হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলেছে, বি এন পি যদি সত্যিই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার আদর্শ চায় তাহলে তারা তো ৫ম সংশোধনীতে ফিরে যাবার কথা বলা উচিত। কথাগুলো খুব সিম্পল এবং সহজ সরল নয় কি। কারো মাথায় যদি সামান্যতম মগজ থাকে এ বিষয়গুলো বুঝতে অসুবিধা হবার তো কথা নয়। বি এন পি সংস্কারের বিরোধীতা করে, করবেই তো। বি এন পি চায় অতীতের মত একই কায়দায় আবার রাজত্ব করতে। বি এন পির নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোটের সময় যা হয়েছে সেটা মনে করিয়ে দেয়ার দরকার আছে কি? এ জন্যই বি এন পি সংস্কার চায় না। তাহলে জাতি আবার আগের অব¯’ায় ফিরে যাবে, দেশ অশান্ত হবে, আওয়ামী লীগ আবার লগী বৈঠা নিয়ে নরোধমের মত পিটাবে। ফখরুল সাহেব হয়ত গিয়ে নোয়াখালীতে কাউয়া কাদেরের বসুর হাটের বাসায় উঠবেন।

বি এন পি আসলে কোন স্বপ্নে বাস করছেন। বি এন পি স্বপ্নে দেখছেন তারা ক্ষমতায় চলেই গেছে!! এত বেশী স্বপ্ন দেখা উচিত নয় স্পপ্নদোষ হয়ে যেতে পারে।

বি এন পি মনে করছে নির্বাচন হলে তারা জিতেই যাবেন। তাহলে নির্বাচন সম্ভাবনা নিয়ে একটু কথা বলি। যারা জীবনে নির্বাচন করেছেন বা ক্যাম্পেইন এ সরাসরি কাজ করেছেন তারা সহজে বুঝবেন। বাংলাদেশে যাদের বয়স ৪০ এর বেশী অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আগে যারা নির্বাচন এবং ক্যাম্পেইন দেখেছেন তারা বুঝবেন। ব্যাক্তিগতভাবে আমার ক্যাম্পেইন এ দীর্ঘদিন অভিজ্ঞতার আলোকে, তাছাড়া আমি নির্বাচন সংক্রান্ত কয়েকটা বইয়ের রেফারেন্স দি”িছ। ৩ টা বই। “ How to Win a Local Election by Judge Lawrence Grey, The Campaign Manager by Catherine Shaw, and Running for Office by Ronald Faucheux”

 দেশে বিদেশে আমার প্রায় ২০ বছরের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অভিজ্ঞতায় একটা কথা বলা যায়, ভোট যদি ঠিকমত হয়, তবে ভোটাররা ভোট দেয় তাকে যাকে তারা ব্যাক্তিগতভাবে চিনে এবং পছন্দ করে, কিংবা নিজের প্রার্থী মনে করে। ব্যাপাটা দলীয় প্রার্থী নয়, নিজের প্রার্থী। নিজের প্রার্থী মনে করা আর দলীয় প্রার্থীর মধ্যে একটা বড় ফারাক রয়েছে। একজন প্রার্থীকে নিজের মনে করা ভিন্ন জিনিস। অনেক সময় কোন প্রার্থীকে চিনে অথচ অপছন্দ করলে সামনে বলে না, এমনকি ভদ্রতার খাতিরে বা ভয়ে ভোট দিব বললেও ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয় না।

এখন প্রশ্ন হলো বি এন পি কোন বলে, কোন অদৃশ্য শক্তিবলে এত আশাবাদি হতে পারে? ফ্যাসিস্ট হাসিনার ১৫ বছরে কেউ নির্বাচন দেখেনি, কোন নির্বাচন দেখেনি কোন প্রার্থী দেখেনি, কোন নেতা তাদের সাথে সুন্দর করে কথা বলেনি, কারণ শুধুমাত্র নির্বাচন আসলেই নেতারা ভোটারদের সাথে সুন্দর করে কথা বলে। তার মানে হলো যে যুবক যুবতীর বয়স এখন ১৮-৩৩ বছর তাদের কেউ বি এন পির কোন নেতাকে চিনে না। বরং এলাকার কিছু মাস্তান চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীকে চিনতে পারে। যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে একজন ভোটার কখনোই অপরচিত কাউকে ভোট দিবে না। বি এন পি নামে একটা দল আছে, ধানের শীষ নামে একটা নির্বাচনী প্রতিক ছিল শুধু এমন একটা মরীচিকায় ভোটাররা ভোট দিবে না। বি এন পি বা এমনকি জামায়াতের যে সব নেতা পলাতক ছিলেন বা জেলে ছিলেন তিনি যত ভাল মানুষই হউন না কেন ভোটাররা তাঁেক ভোট দিবে না সিম্পল কারণ হলো ভোটাররা তাকে চিনে না। অপরদিকে এমন ও হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যদি চোর বদমাইশ হলেও তাকেই হয়ত ভোটাররা ভোট দিতে পারে, আওয়ামী লীগের সে বদমাইশ এলাকায় ছিলো। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে বন্ধু বান্ধবের উপকারও করেছে তাকেই ভোটার রা চিনে। শুধু ভোটের ক্ষেত্রে নয়, মানুষের এই চেনা অনেক বড় শক্তি, তার যদি কোন দোষও তাকে। একটা উদাহরণ দেই, মানুষ কেন বন্ধু বান্ধবকে সমর্থন করে বন্ধুটি খারাপ হলেও করে। দলের লোক অন্যায় করলেও কেন সমর্থন করে এটা শুধু আমার দলের লোক এ কারণে নয় এটার আরেকটা প্রধান কারণ হলো ”অমুক ভাইকে আমি চিনি, লোকটার মনটা ভাল”। আপনি বি এন পি বা জামায়াত করেন, আপনি একসময় প্রভাবশালী নেতা ছিলেন, আপনার কথায় বাঘ ভেড়া এক ঘাটে পানি খেত, মনে রাখবেন সেটা এখন ইতিহাস ১৮-৩৩ বছরের ভোটারদের কাছে ’আপনি কেডা’।

শুধু কি ১৮-৩৩ বছরের ভোটাররা? এমনকি যে সব এলাকা এক সময় বি এন পির ঘাটি ছিল বি এন পি সে সব এলাকায় ও হারতে পারে। কথাটা অনেকের কাছে অবিশ^াস্য মনে হবে। কারণটা বলি, আমরা যারা রবীন্দ্রনাথের কাবুলীওয়ালা গল্প পড়েছি তারা বুঝবেন ভাল। কাবুলীওয়ালা খুকীকে ছোট্র খুকী রেখে জেলে গিয়েছিল। ১৫ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসে দেখলেন, খুকী তো আর খুকী নাই খুকী এখন বড় হয়েছে, খুকীর বিয়ে হচ্ছে, খুকী এখন আর বাদামওয়ালা কাবুলী ওয়ালাকে চিনে না। আপনারা কাবুলীওয়ালা নেতাদেরকে ভোটাররা এখন আর আপনাদেরকে চেনে না। বিশ^াস করুন নামে যদি চিনেও থাকে মনের ভেতর থেকে আপনাদেরকে আর সেভাবে চেনে না। প্রমান পাবেন নির্বাচনের পরের দিন যখন আকাশ থেকে পড়বেন।

আরেকটা উদাহরণ দেই, বাংলাদেশে অনেকে বিয়ে করে বউ রেখে বিদেশ যায়, স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়, সবকিছু পাঠায়, কিন্তু পরে দেখা যায় বউ অন্য লোকের সাথে পরকিয়ায় মত্ত বা পালিয়ে যায়, কেন? কেন এমন হয়, ভাই, সেই একই সুত্র ”কাছে থাকে যতক্ষন মনে পড়ে ততক্ষণ” নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটা খুব বেশী প্রাসংগিক। প্রার্থীরা যতবেশী ভোটারদের কাছে থাকেন ভোটাররা ততবেশী চেনেন, ভালবাসেন। এমনকি আপনি যদি তেমন কিছু নাও করে থাকেন তারপরও আপনাকে দেখতে দেখতে আপনার প্রতি এক ধরনের আতœার আতœীয়তা অনুভব করবেন ভোটাররা। ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে প্রচার দিয়ে সে ভালবাসা হয় না। কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন জাতীয় নেতাদেরকে তো আমরা ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না বা দেখিনা, সেখানে মানুষ ভোট দেয় কেন? ঐ যে বললাম মানুষ যখন নিজের মনে করবে। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা তার বই ”ওডাসিটি অফ হোপ” বইতে লিখেছেন, রাজনীতিবিদদের বিশেষ করে নির্বাচনে প্রার্থীদের একটা গুন থাকে বা থাকতে হয় সেটা হলো” লাইকেবল পার্সোনালিটি”, অর্থাৎ যাদের কথাবার্তা চাল চলনে আকর্ষণ আছে। মানুষ যাদেরকে পছন্দ করে, নিজের মনে করে।

না, বি এন পি ইতিহাসে হারিয়ে যাবে সেটা আমি বলছি না। বি এন পি এলাকায় পরিচিত নেতা নাই সেটাও বলছি না। তবে বি এন পি যে স্বপ্ন দেখছে সেটা শুধুই স্বপ্ন। বি এন পি যে শুধু কাল্পনিক স্বপ্ন দেখছে তার আরেকটা প্রমাণ বি এন পি চারিদিকে ঢিল ছোড়াঁছোড়ি। বি এন পি নেতা আমাদের দুদু ভাই তো শুধু লোম ছেঁড়াছেড়ীতে ব্যাস্ত। তিনি ইউনুস সরকারকে এক হাত নেন যে ইউনুস সরকার কার লোম ছিড়ছেন। আমি নিজেও জানি এই সরকার আসলে কার লোম ছিড়ছেন, তবে আমাদের দুদু ভাই কখন কার লোম ছিঁেড়েছেন সেটাও আমার জানা নাই। দুদু ভাইকে আমি চিনি সেই তখন থেকে যখন তিনি ডাকসু ইলেকশন করেছেন। তিনি একাবার ইউনুস সরকারের লোম ছিড়েন আবার আজহারীকে রাজনীতিতে আসতে বলেন। ফখরুল সাহেব একবার পোলাপাইনের সাথে লাগেন আবার ৭১ এর চেতনায় গর্জে উঠেন, আবার বলেন ইসলামের সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই তারপর আবার পাচ কল্লি টুপি পরে চর মোনাই গিয়ে চর মোনাইর মুরীদ হন।

আমার এ লেখা পড়ে কেউ কেউ মনে করতে পারেন আমি বি এন পিকে এক হাত নিচ্ছি কেন। তাহলে আমি কাকে সমর্থন করছি। আসলে বি এন পি কে এক হাত দেখানো বা নেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। বি এন পি যতটুকু সমর্থন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে ততটুকু সমর্থন আমি করি। আগেও করেছি এখনো করতে চাই। জিয়া এবং খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান ছাড়াও আমি ওয়াশিংটন ডি সির বি এন পির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি এবং সম্ভ্যাব্য সমর্থন দিয়েছি। আমি বাস্তবতার কথা বলেছি। বি এন পির স্বপ্নভংগ বা স্বপ্নদোষ হবার আগে একটা সতর্কবার্তা দিতে চাই।

তাহলে প্রশ্ন হলো আগামী নির্বাচনে কি হবে বা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কি? আমি মনে করি বাংলাদেশের ভবিষ্যত হলো আগষ্ট বিপ্লব। আগামী নির্বাচন আগষ্ট বিপ্লবের হবে কিনা সেটা বলা যাবে না। তবে দাবার গুটি যে দিকেই যাক বাংলাদেশের ভবিষ্যত আগষ্ট বিপ্লবের উপর ভিত্তি করেই হোক। এর মাঝে যত কিছুই হোক যত ষড়যন্ত্রই হোক। এমনকি যদি সামরিক শাষন ও আসে। বা ভারতের ষড়যন্ত্রে মনে করুন হাসিনাই ফিরে আসুক। যদিও আমি মনে করি না সামরিক শাষন আসবে না। পিনাকী ভট্রাচার্যের ভাষায় আমি ও বলতে চাই, ”আমিও চাই সামরিক শাষন আসুক”। স্পষ্টতই সবাই বুঝবে সেটা ভারতের ইন্ধনে হয়েছে। তাছাড়া হাসিনাও আর কোনদিন ফিরে আসবে না। তাহলে কে আসবে জামায়াত? না, জামায়াতও আসবে না, এমনকি কোন দৈব কারণে জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসেও সেটা হবে জামায়াতের জন্য মরণ। সেটা মিশর পাকিস্তানের চেয়ে আরো ভয়াবহ হবে।

তাহলে কে আসবে? বা বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি কোন দিকে। সংক্ষেপে বলতে গেলে প্রথমে বলতে হবে, আগামী ৫-৭ বছর বাংলাদেশ খুব জগাখিচুড়ী অবস্থায় থাকবে। যেমন হয়েছিল ইরাকে, সিরিয়ায়। আমার কাছে একটা বই আছে ম্যানেজিং ট্রানজিশন। আমরা একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডে আছি। তবে আস্তে আস্তে তরুন প্রজন্মই বাংলাদেশের নেতৃত্ব হাতে নেবে। যে কোন ট্রানজিশন প্রথমে খুব কঠিন হয় সবকিছু এলোমেলো থাকে তারপর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসে।

তরুন প্রজন্ম কি জামায়াত? এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এর উত্তরে আমি মনে করি এরা জামায়াত নয় আবার জামায়াত বিরোধীও হয়ত নয়। শুধু ফ্যসিস্ট হাসিনা নয়, গত ৫০ বছরের নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী একটা বয়ান তৈরি করেছিল সেটা ছিল কেউ ইসলামের কথা বললেই সেই জামায়াত বা শিবির। তরুন যুবকের মুখে দাঁড়ি থাকলেই সে শিবির। সে সব বয়ান এখন সেকেলে এবং ভুল প্রমানিত হয়েছে। জামায়াত যেহেতু একটা আদর্শ, আর এ দেশের মানুষই যেহেতু জামায়াত করে সুতরাং জামায়াতের একটা প্রভাব অবশ্যই আছে সেটা যেমন কেউ অস্বীকার করা ভুল হবে তেমনিভাবে কেউ ইসলামের কথা বললেই তাকে জামায়াত ট্যগ লাগানো এক ধরনের বুদ্ধি বৈকল্য। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এ ধরনের ট্যাগ লাগানো, মিথ্যা বয়ান তৈরি করেছিল নাস্তিক্যবাদী বাম দল এবং বুদ্ধিজীবিরা এবং মজার ব্যাপার হলো সে বয়ান ভাঙতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন একজন সাবেক বাম কম্যুনিষ্ট পিনাকী ভট্রাচার্য।

আজকের জেনারেশন জেড বা জি আসলে তাদের নিজস্ব মত পথ আছে, তারা জামায়াতও নয়। কট্রর ইসলামপন্থীও নয় আবার ইসলাম পরিপন্থীও নয়।

 পরিশেষে আবারো ফিরে আসি বি এন পি বা যারাই আগামী নির্বাচন নিয়ে দুঃস্বপ্নে আছেন তাদের কথায়। আমি নিশ্চিত বি এন পি কিংবা জামায়াত বা আর যে কেউই আগামী নির্বাচন নিয়ে খুব দুঃস্বপ্ন দেখছেন তাদের বেশীর ভাগই ডায়াবেটিস এবং বøাড প্রেসারের রোগী। কথাটা বাড়িয়ে বলিনি। কারণ একে তো বাংলাদেশে অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে অসুখ বিসুখ বেড়ে গেছে অনেক। তার উপর যারা প্রফেশনাল রাজনীতিবিদ, রাজনীতি দিয়ে যাদের পেট চলে এদের প্রায় সবারই বয়স ৫০ এর উপর। আর বয়স ৫০ এর বেশী অথচ আপনার ডায়াবেটিস বøাড প্রেসার নাই এটাতো হতেই পারে না।

তাই আমার একটা পরামর্শ বিশেষ করে বি এন পি নেতাদের যাদের বয়স ৫০ বা ৬০ হয়ে গেছে। ভাই এক পা তো কবরে চলে গেছে। বাস্তবতা বুঝার চেষ্টা করুন। ভারত কোন বিদেশী শক্তি আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। গত পনের বছর দেখলেন তো। শেষে ২০২৪ সালে এই পোলাপাইন গুলো কেমন একটা হ্যচকা টান দিল আর ধপাস করে সব ঝাড়ি ঝুড়ির পতন হয়ে গেল। আপনারা কে কে ওজের যাদুকর বইটা পড়েছেন জানি না। আমি খুব ছোটকালে পড়েছিলাম বাংলা সংস্করণ, বইটার একটা প্রধানতম কারেক্টার ছিল ওজের যাদুকর, সবাই মনে করতো ওজের যাদুকরের অনেক শক্তি পরিশেষে প্রমানিত হলো সবকিছু ভুয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের যারা ওজের যাদুকরের পেছনে দেীড়াচ্ছেন তারা আসলে মিথ্যা মরিচিকার পেছনে দেীড়াচ্ছেন। আমার পরামর্শ হলো আর কদিন বাঁচবেন লেন্দুপ দর্জি বা মীর জাফরের মত দালালী করে ক্ষমতায় গেলে তাতে আসলে কোন ক্ষমতা থাকে না, বরং কাঠের পুতুলের মত দাঁিড়য়ে থাকতে হয়। অপরদিকে জাতির কাছে সারা জীবন মীর জাফর আর লেন্দুপ দর্জি খেতাব পেতে হয়।

 
 
 

Recent Posts

See All
তারাবী ২০ না ৮, নাকি ১১, না ২৩

আলী হাসান ওসামা এবং ব্রাদার রাহুল নামে ভারতীয় এক বক্তার ডিবেটের প্রচার দেখে আসছিলাম বেশ কয়েকদিন থেকে। বিষয় হলো তারাবী নামাজ ৮ রাকাত নাকি...

 
 
 
খালেদ মহিউদ্দিন এর শো তে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সাক্ষাতকার

গতকাল খালেদ মহিউদ্দিন এর শো তে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সাক্ষাতকার দেখছিলাম। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যে বিষয়টা ভাইরাল হয়েছে সেটা হলো এর আগের...

 
 
 

Comments


Contact

Never Miss a Lecture

Add your text

  • Linkedin
  • Facebook
  • Twitter
  • Instagram
  • YouTube
  • Amazon
White Structure

Never Miss a Lecture

Add your text

© 2035 by Skooled. Powered and secured by Wix

bottom of page